মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী
আজ নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর, গণআন্দোলনের অগ্রনায়ক মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন বিশ শতকের ব্রিটিশ ভারতে গণআন্দোলনের এক উজ্জ্বল নায়ক, যার নেতৃত্বে পাকিস্তান সৃষ্টি হয় ১৯৪৭ সালে। একইসঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টাদের একজন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই মহান নেতা। শৈশবে তার ডাক নাম ছিল ‘চেগা মিয়া’। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং ১০ মাস কারাভোগ করেন।


১৯২৬ সালে আসামে তার নেতৃত্বে কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূচনা ঘটে। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন, যা তাকে ‘ভাসানী’ উপাধিতে ভূষিত করে।
মাওলানা ভাসানী ১৯৫৪ সালের ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন। ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৮ সালের আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রামী এই নেতা ভাষা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০২ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মাওলানা ভাসানী। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।