প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার সাদপন্থীদের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের প্রতিশ্রুতিতে সড়ক ছেড়েছেন মাওলানা সাদপন্থীরা। মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনার পর তারা সড়ক থেকে ফিরে যান।


এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর জুমার নামাজে লাখো মুসল্লি নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জমায়েত হন সাদপন্থীরা। একই দিনে তারা মসজিদে প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন।
অন্যদিকে, আগামী বছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের তারিখ ও নেতৃত্ব চূড়ান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি শুরায়ী নেজামের অধীনে এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থীদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে।
সাদপন্থীরা তাদের আমির মাওলানা সাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চান। কিন্তু তাকে আমন্ত্রণ জানানো না হওয়ায় মঙ্গলবার তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশের বাধার মুখে সড়কে অবস্থান নেন তারা।
সড়ক অবরোধের দাবি
সড়কে অবস্থানরত সাদপন্থীদের একজন মুরুব্বি জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য যমুনা অতিথি ভবনে যায়।
তিনি বলেন, “মাওলানা সাদ সাহেবকে ইজতেমায় আনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বৈঠকে অংশ নিয়েছি। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের আমিরকে বাংলাদেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এবার আমরা আর কোনো বাধা মেনে নেব না।”
তাবলিগের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপট
তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াছের (রাহ.) বংশধর মাওলানা সাদ কান্ধলভী। তার কিছু বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলেমদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জুবায়েরপন্থীরা অভিযোগ করেন, সাদ কুরআন, হাদিস এবং মাসআলা-মাসায়েল বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এর জেরে তাবলিগ জামাত বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত।