‘বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের এত বড় গণহত্যার নজির কোথাও নেই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৪

ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন-ফ্যাসিস্ট সরকার কী নির্মমভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছিল। দিনে দিনে আমরা মৃতদের নতুন সংখ্যা পাচ্ছি, সংবাদ পাচ্ছি। হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন, চিরদিনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে গেছেন। বাংলাদেশ কেন, এই উপমহাদেশের ইতিহাসে এত বড় গণহত্যার নজির কোথাও নেই।

উপদেষ্টা বলেন-পৃথিবীতেও এটা খুবই বিরল বলা চলে। সেই অপরাধের বিচার যেখানে হবে সেটা পরিদর্শন করেছি। পূর্ত উপদেষ্টার সক্রিয় ভূমিকার কারণে অতি দ্রুত সংস্কারকাজ সম্পন্ন করছি। আমরা আশিা করছি ১ নভেম্বরের মধ্যে সংস্কারকৃত ভবনে ঐতিহাসিক বিচারকাজ শুরু করা যাবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টেবর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

হত্যা-গণহত্যার ঘটনার বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা-গণহত্যার ঘটনার বিচার করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি আগামী ১ নভেম্বর থেকে মূল ভবনে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের বিচারের ক্ষেত্রে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে মঙ্গলবার বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এরপর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এজলাসে বসবেন। সেদিন থেকে বিচারকাজ শুরু হবে।

Nagad

তাজুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কয়েকটি আবেদন করব।

এর আগে নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার ও দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।