এবার লেবাননে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ, নিহত ২০

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

ছবি: বিবিসি

লেবাননে আবারও টার্গেট হলো যোগাযোগ ডিভাইস। সিরিজ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত সাড়ে চারশ’র বেশি মানুষ। যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের কারণে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। । খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের কয়েকটি স্থানে হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার (যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র) একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় তিন হাজার।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আরও এক ডিভিশন সৈন্য মোতায়েনের পর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত সম্প্রতি ঘোষণা করেন ‘নতুন ধাপের যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। তার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পেজার বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটল।

এদিকে, এ ধরনের হামলার পর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উদ্ভূত পরিস্থিতিকে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার জন্য নাটকীয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা হিসেবে বর্ণনা করে সবাইকে হুঁশিয়ার করেছেন। তিনি এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে গুতেরেস বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে এসব ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত করার যুক্তি হিসেবে বলতে হয়, কোনো বড় ধরনের সামরিক অভিযানের আগে এটি আঘাত করার ক্ষেত্রে একটি আগেভাগে নেওয়া তৎপরতা।’

হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত ওয়াকিটকি ছিল হামলার মূল লক্ষ্য। বিস্ফোরিত হয়েছে রেডিও, সোলার সিস্টেম, গাড়ির ব্যাটারিও। রাজধানী বৈরুত, বেক্কা ভ্যালিসহ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হয়েছে এসব বিস্ফোরণ। সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে মনে করা হয় অঞ্চলগুলোকে। পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার একদিনের মধ্যে হলো এ হামলা।

Nagad

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ৫ মাস আগে ওয়াকিটকিগুলো কিনেছিল হিজবুল্লাহ। কাছাকাছি সময় কেনা হয়েছিল পেজারগুলোও। ধারণা করা হচ্ছে, সরবরাহের আগেই গোপনে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল ডিভাইসগুলোতে। মঙ্গলবার লেবাননজুড়ে হাজার হাজার পেজার বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু ও প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হয়। হামলাগুলোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ।

এদিকে গাজায় ১১ মাস ধরে চলতে থাকা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাবে দুই দেশের সীমান্তে মাঝেমধ্যেই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটলেও নতুন করে এই হামলার মাধ্যমে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছেই।