পেজার বিস্ফোরণ, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি হিজবুল্লাহর
লেবাননে সাম্প্রতিক পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত ও প্রায় ২ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে ইরানের লেবাননস্থ রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং আরও বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন যোদ্ধাও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


পেজার হলো এক ধরনের ছোট যন্ত্র, যা মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক পেজার বিস্ফোরিত হতে থাকে। সেগুলো হ্যাক করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যে পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো হিজবুল্লাহর বিভিন্ন ইউনিট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ব্যবহার করতেন। এসব বিস্ফোরণে তাদের অন্তত দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এসব বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি। তারা বলছে, এর জন্য ইসরায়েলকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ পেতে হবে।
এদিকে, স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। যেসব পেজারে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো পাঁচ মাস আগে লেবাননে যায়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, লেবাননে যাওয়ার আগে এ ডিভাইসগুলো মোসাদের হাতে এসেছিল। তারা ডিভাইসটির ব্যাটারির উপর অত্যন্ত উচ্চ বিস্ফোরক পিইটিএন স্থাপন করে দিয়েছিল। এরপর দূর থেকে ব্যাটারির তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ডিভাইগুলোতে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘর্ষে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরো গুরুতর রূপ নিতে পারে।