‘মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে দল বা মতেরই হোক না কেন তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন-আওয়ামী লীগের মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও একটা কথা মনে রাখতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই যুগ যুগ ধরে তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে। আমার দলের সঙ্গে কারও মতের মিল না-ই থাকতে পারে, সেটা আমার কাছে বিবেচ্য না। আমার কাছে বিবেচ্য, মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাই তাদের কোনোভাবেই অসম্মান করা যাবে না।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল মর্যাদা নিয়ে পথচলা শুরু হবে বাংলাদেশের। নতুন প্রজন্মকে এর জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই ফেলোশিপকে ট্রাস্ট করে আইন করে দিয়ে যাবো। যেন ভবিষ্যতে এটা বন্ধ করতে না পারে। আমরা এখন যাই করব একটি ট্রাস্ট ফান্ড করে দেবো।’

ফেলোদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাবেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। জনগণ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করবেন। ফিরে এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’

Nagad

এর আগে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষামূলক উন্নয়ন কার্যক্রম বিএনপি ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে।’

‘আমরা ৯টি ভাষা দিয়ে ফ্রি অ্যাপস চালু করে দিয়েছি। কারণ ফ্রিল্যান্সাররা যাতে ভাষা শিখে কাজ করতে পারে। একটা গ্রামে বসে যেন তারা কাজ করতে পারে। এছাড়া ইতোমধ্যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের কাজ চলছে, যা আগের চেয়ে আরো উন্নত হবে।’

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী আছে তারা যেন সবদিক থেকে সুযোগ সুবিধা পায়। তারাও যেন এগিয়ে যায়। শিক্ষায় তারাও যেন পিছিয়ে না পড়ে, সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।’