জলবায়ু সংকট: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্ষমতায়নে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা

জেষ্ঠ প্রতিবাদেক:জেষ্ঠ প্রতিবাদেক:
প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জাতিসংঘকে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর চাহিদার প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ এবং হিমবাহ গলনের মতো বিষয়গুলো অঅস্ত্বিত্বের সংকট। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১৩জুলাই) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মুহাম্মদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের ক্ষেত্রে এর দৃঢ় অগ্রগতি সতর্কতা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদাহরণ। দেশের দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং সহিষ্ণুতা অন্যান্য জাতির জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।

বৈঠকে উপ-মহাসচিব এবং মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব, চলমান সংঘাত এবং অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এই বাধা অতিক্রম করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি মোকাবেলা করতে এবং তাদের সবুজ পরিবর্তনকে সমর্থন করার জন্য আরও তহবিল সুরক্ষিত করার জন্য জলবায়ু আলোচনায়, বিশেষ করে কনফারেন্স অফ পার্টিগুলিতে কীভাবে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বরকে প্রসারিত করা যায় তাও তারা আলোচনা করেছেন।

এর আগে মন্ত্রী চৌধুরী জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এডমিনিস্ট্রেটর আচিম স্টেইনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন। এডমিনিস্ট্রেটর বাংলাদেশের নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে তার জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে ইউএনডিপির অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

এর পাশাপাশি, মন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের অফিসের (ইউএনওএসডি) প্রধান চুন কিও পার্কের সাথেও সাক্ষাত করেন এবং প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

Nagad

ওই সব বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসঅহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।