প্রথম দফায় তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি
অসুস্থ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে বিএনপি। একই দাবিতে ১ জুলাই দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের সাথে আপামর জনসাধারণ একাত্ম হবেন। আমাদের বিশ্বাস আমাদের সাথে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন তারা অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তার মুক্তির কথা বলেছেন।’
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। গত ২৩ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে। তার এরকম শারীরিক অবস্থায় মুক্তি আন্দোলন কেন করতে যাচ্ছেন তার করার ব্যাখ্যা দেন তিনি।


সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের চক্রান্তের অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দেওয়ার পরও উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সাজা বাড়িয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করা হবে। জনগণ এ আন্দোলনে এক হবে। আমরা এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো উনার মামলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেইন্ডিং আছে। সুতরাং এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা (সরকার) তাদের পরিকল্পিতভাবে তাকে কারাগারে আটক করে রাখছে সেটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আপনি দেখবেন কারা কারা জামিন পারে। সেখানে আছে বয়স্ক মহিলা, অসুস্থ মানুষ তারা জামিন পাওয়ার অধিকার রাখে। যত বড় মামলাই হোক।’
এসব কর্মসূচিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রতিও সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান ফখরুল।