টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানবাহনে ধীরগতি
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাতে একাধিকবার টোল আদায় বন্ধ থাকায় ১৩ কিলোমিটার অংশে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
শনিবার (১৫ জুন) ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে পরিবহনের চাপের কারণে টোল আদায় বন্ধ রেখেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে মহাসড়কের যানজট বেড়েছে। যানজটের ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও চালকদের।
পরিবহনের চাপের কারণে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাত থেকে দীর্ঘ সময় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে মহাসড়কের যানজট বেড়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো উত্তরের যাত্রী ও চালকরা।
পুলিশ ও সেতু কর্তপক্ষ জানিয়েছে, সেতুর উপর কয়েকটি গাড়ি বিকল হলে সেগুলো সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। যার ফলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সেতুর উপর দুর্ঘটনা রোধ ও সেতুর ধারণ ক্ষমতার অধিক যানবাহন প্রবেশ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়ে টোল বুথের সামনে গাড়ির সারি চলে আসে। এতে বেশ কয়েকবার টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ভোররাত থেকে এখন পর্যন্ত মহাসড়কে পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরের ১৬টিসহ মোট ২১টি জেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঈদের সময় এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে বিপুল সংখ্যক গাড়ি একসঙ্গে সেতু পার হতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।