আমাদের নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এগুতে হবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৪

আমরা মনে করি, এই দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে আমাদের নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এগুতে হবে-বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন-ভূ-রাজনীতিসহ বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে এগুতে হবে সেই চিন্তাভাবনার মধ্যে দেশের মানুষ, পৃথিবী ও ভূ-রাজনীতি সবগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৮মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষ, সকল রাজনৈতিক শক্তি ও দেশকে যারা ভালোবাসেন তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে; দেশ ও জাতিকে ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।’

১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশবাসীর মতো মির্জা ফখরুলও সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। এখন কি আর রাইফেল ধরতে পারব? আমরা কি রাস্তায় এখন মারামারি করতে পারব? পারব না। আমাদের এখন দরকার নতুন প্রজন্ম। যখন যুদ্ধে ছিলাম তখন সবাই তরুণ-যুবক ছিলাম। মাথার মধ্যে দেশ স্বাধীন করা ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। কে কী হবে, না হবে সেটা নয়, দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। একমাত্র গোল ছিল দেশকে স্বাধীন করতে হবে। এখন সেই সময় এসে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘তখন দেশ স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছিলাম, এখন দেশকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে হবে। এদেশ বাঁচাতে হবে, সেই লড়াই এখন। এই লড়াইয়ে যদি আমরা পরাজিত হই, তাহলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতি একটি বিজ্ঞান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সেই কাজগুলো আমাদের করতে হবে। আমাদের বিজ্ঞান সম্মতভাবে এগুতে হবে।’

Nagad

জিয়াউর রহমানের যে ১৯ দফা সেটাকে অনুসরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে কথা বলা বিপদ, এখানে আন্দোলন করাও বিপদ। কিন্তু এই বিপদকে কাঁটিয়ে উঠে আমাদের সাহস করে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের যে ন্যায্য দাবি, তা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ আমরা তো অন্য কিছু চাই না, আমরা শুধুমাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য আমাদের আন্দোলন অবশ্যই বহাল থাকবে। যা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এতদূর এসেছি।’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম, ফজলুর রহমান, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কর্ণেল (অব.) জয়লাল আবেদিন, জহির উদ্দিন স্বপনসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা।