ডিপজলের শিল্পী সমিতির দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি, যা বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৪

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনে সম্পাদক পদে বিজয়ী ডিপজল তার পদে বসতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি বলেন, আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন এখানে কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দুই এক দিনের মধ্যে আমারা চেম্বার জজ আদালতে যাব।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফুলের মালা দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার একমাস পর আবার কমিটি বাতিল চাওয়ার পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মনে করেন ডিপজল। তার কথায়, এটার পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে সে (নিপুণ) এসব করছে সেহেতু বুঝতে হবে তার পেছনের হাত লম্বা।

নিপুণের এমন আচরণ নিয়ে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিপজল। তারও এ বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত বলে জানান তিনি। ডিপজলের ভাষ্য, ‘সোহেল রানা ভাইসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত।

এর আগে গত ১৫ মে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় শিল্পী একটি রিট আবেদন করেন। রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

Nagad

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)।