ফিরে যাচ্ছেন সীমান্তরক্ষীসহ মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিক, চলছে প্রক্রিয়া

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিচট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪

আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন নাগরিককে ১২ দিন পর ফেরত পাঠানোর উদ্দেশ্যে ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে নেওয়া হয়েছে। দেশের সেনাসহ বিজিপির ৩৩০ সদস্যকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের উপকূলের নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকা দিয়ে তাদের মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ভোরে তাদের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘাটে আনা হয়।

সেখান থেকে তাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ করে নেওয়া হয় গভীর সাগরে। যেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ। সেই জাহাজের মাধ্যমে স্বদেশে ফেরত যাবেন তারা।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ৮টার দিকে দুই দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারপর স্বাস্থ্যপত্র দিয়ে তাদের জাহাজে তোলা হবে। হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে কোস্টগার্ড তাদের নিয়ে গভীর সমুদ্রের জাহাজের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে, বিজিবির মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার মোর্শেদ আলমসহ জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এর আগে বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন বাহিনীর এই ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। যেখানে বিজিবির অধীনে আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। উভয় দেশের আলোচনার ফলশ্রুতিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় আসবে। জাহাজটি গভীর সাগরে অবস্থান করবে। আশ্রয়রত ৩৩০ জনকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলীতে করে ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে হস্তান্তর করা হবে।

Nagad

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল রুপ নিয়েছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত তীব্র রূপ নিয়েছে। রাখাইন প্রদেশে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির হামলায় মিয়ানমারের সরকারি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কয়েকশ সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই সংঘর্ষে গোলা পড়ে বাংলাদেশের দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন