অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪

অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে বলে জানিয়েছেন-বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। তিনি বলেছেন-েদেশীয় শিল্পের বিকাশের স্বার্থে কিছু সংরক্ষণমূলক নীতি নেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে থাকে

আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, বর্তমানে বিদেশ হইতে জ্বালানি তেল, তুলা, সার, লোহা ও স্টিল, নিউক্লিয়ার রিয়েকটর, বয়লার্স, যান্ত্রিক সরঞ্জাম, ভোজ্যতেল, তেলবীজ, প্লাস্টিক পণ্য, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রেলওয়ে ইঞ্জিন, নিটওয়্যার, লবণ, বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক দ্রব্যাদি, গবাদি পশুর খাদ্য এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা আমদানি করা হয়ে থাকে। যে কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে আমদানি রোধ নয় বরং দেশের স্বার্থে তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। রপ্তানিমুখীসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবেও পণ্য আমদানি করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যুগোপযোগী আমদানি ও রপ্তানি আইন নতুনভাবে প্রণীত হচ্ছে। এ আইনের অধীন আমদানি নীতি আদেশ রয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী কিছু কিছু পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং কিছু পণ্য শর্ত সাপেক্ষে আমদানির বিধান রাখা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যসামগ্রী অবাধে আমাদানিযোগ্য। ডাব্লিউটিও’র সদস্য দেশ হিসেবে তার বিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়েছে। তবে দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে কিছু সংরক্ষণমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।