প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন পাননি। এই মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এই আদেশ দেন।


মির্জা ফখরুলের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি করা হয়। বিচারক তা নাকচ করে দেন। এর আগে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। এ মামলার নথি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সিআরমিস শুনানি থাকায় বিচারক মামলার নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয় শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।’
আইনজীবী হিমেল আরও বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি ও রমনা মডেল থানায় তিনটি। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এর মধ্যে ১০ মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে এক মামলায় জামিন না মেলায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেননি।’
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় সিএমএম আদালমে হাজির করা হয়। পরে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন করলে তাও নাকচ করা হয়। সে আদেশের বিরুদ্ধে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন ফখরুল। সেখানে জামিন আবেদন শুনানির পরে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল খারিজ করে দেন। এতে ফখরুলের জামিন আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ হয়ে যায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। আসামিরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।
ফখরুল-খসরু ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্যসচিব আমিনুল হক।