রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ : সালমান এফ রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

সংগৃহীত ছবি

রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে-বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, রপ্তানিকে বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তারপরও ডলারের চাপ থাকছে। তাই রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এখন আমাদের দুটি জিনিস করতেই হবে। একটি হচ্ছে রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে এবং আরেকটি হচ্ছে রপ্তানি বাড়াতে হবে। এটাই হলো মূল কাজ

এটা আমাদের করতেই হবে জানিয়ে তিনি বলেন- প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন রপ্তানি বাড়ানোর জন্য। সেজন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখানে রপ্তানি বহুমুখী করার জন্য কাজগুলো করা হচ্ছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে কোনো কষ্ট পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কষ্ট হচ্ছে। এজন্য ইনটারেস্ট রেট বাড়ানো হয়েছে। আবার ফিসক্যাল পলিসি, রেট অনেকগুলো বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে কিছুটা মূল্যস্ফীতি কমেছে। যে লেভেলে আসা উচিত, সেটি এখনো হয়নি। ডিমান্ড অনুযায়ী সাপ্লাই করা হচ্ছে। আমাদের কৃষি খাত ভালো করছে। অনেক জায়গায় দাম বাড়ছে, বাড়া উচিত নয়। আমরা এটা দেখছি।

অর্থ, বাণিজ্য ও খাদ্যমন্ত্রী বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, বিষয়টি জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আামি আশাবাদী বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। যেটা ডিমান্ড সাপ্লাইয়ের সঙ্গে বাড়ে সেটাতে কিছু করার নাই। অনেক সময় অস্বাভাবিক ভাবেও দাম বেড়ে যায়। সেখানে সরকার নজরদারী করছে।

শিল্পক্ষেত্রে গ্যাসের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, এখন যা হচ্ছে এটা সাময়িক। আমাদের ২টা এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসফিকশন ইউনিট) আছে। যেগুলোকে বছরে একবার সংস্কার করতে হয়। সংকট কেটে যাবে। ভবিষ্যতের জন্য ভালো খবর আছে। অনেক নতুন গ্যাস আমরা পেয়েছি। ভোলাতে গ্যাস পেয়েছি। ওভার অল গ্যাসের একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সব কাজ ঠিক মতো হলে গ্যাসের সংকট কেটে যাবে।

Nagad

তিনি বলেন, রপ্তাানিতে নতুন পণ্য চিহ্নিত হয়েছে। এটায় আমি আশাবাদী। আমরা ফুল-ফল রপ্তানি করছি। ছোট আকারে হলেও শুরু হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখী হয়েছে কিন্তু ভলিউম বাড়ছে না। সেখানে অসন্তুষ্টি আছে। পোশাক খাতকে যা যা সুবিধা দেওয়া হয়েছে, চামড়া আর পাটকে সেসব সুবিধা দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

আজকের মতবিনিময় সভায় কী আলোচনা হয়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা একটা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। সেটি হচ্ছে, আগামী তিন বছর দোহার-নবাবগঞ্জে কি ধরনের উন্নয়ন হবে সেটির কর্মপরিকল্পনা ও রোড ম্যাপ তৈরি করার। সকাল থেকেই এখানকার জেলা-উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও অংশীজনদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় সভা করছি। এতে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন। দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এ পরিকল্পনাকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। প্রথম এক বছরে কি হবে, তারপর দুই বছরে কি হবে এবং ফাইনালি তিন বছরে গিয়ে কি হবে সেটি নিয়েই আজ আলোচনা করা হয়েছে। অবশ্য এটি আমাদের প্রথম মিটিং ছিল। যার জন্য আমরা তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ আমরা শুধু মতবিনিময় করেছি। এই মতবিনিময় সভায় যে ফিডব্যাক পেয়েছি সে ফিডব্যাকের ভিত্তিতে আমরা একটা চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রস্তুত করব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমান ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।