মোহনগঞ্জ ট্রেনে নাশকতার মূলহোতা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩

সংগৃগীত ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতার মূলহোতা ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট- এর দাবি ইখতিয়ার রহমান কবির ঘটনা বাস্তবায়নের মূলহোতা। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশে তারা এ কাজ করেন। কবির ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও যুবদলের নেতা।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

রেল লাইন কাটায় সরাসরি অংশ নেন গাজীপুর মহানগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইমন হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, যুবদলের একজন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান কবির। নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি গাজীপুরে ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একজন হলেন, আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক তোহা এবং অন্যজন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা দুজন স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বাসায় মিটিং করেন।

তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নাট-বল্টু খুলে রেল চলাচল বিঘ্ন ঘটাবে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করে তা করতে পারেনি। তাই কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাটার সিদ্ধান্ত নেন।

সিটিটিসির প্রধান আরো বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর ইমনের বাসা থেকে যন্ত্রপাতি গাজীপুর নিয়ে যাওয়া হয়। একইদিন ইমন ও কবির কমলাপুর থেকে ট্রেনে করে জয়দেবপুর রেল স্টেশনে যান। তারা ট্রেনের শিডিউল জেনে রাখেন। ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা ঘটনাস্থলের দিকে যান। ঘটনাস্থলে মোট নয়জন একত্রিত হয়ে রেললাইন কাটার কাজ শুরু করেন।

Nagad

রেললাইন কাটার পর দুটি সিলিন্ডার ফেলে রেখে গেলেও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা ঢাকায় যায়। ভাড়া করা মাইক্রোবাস তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফটকে নামিয়ে দেয়। পরে তারা আত্মগোপনে যান। এর আগে রেললাইন কাটার কথা টুকুকে জানানো হয়।

সিসিটিসি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার কবির এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি গত ২৮ অক্টোবর থেকে যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, নিউ মার্কেট, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০টির বেশি বাসে আগুন দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলা হয়। এতে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আসলাম মিয়া নামের এক যাত্রী নিহত ও লোকোমোটিভ মাস্টারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে ১৪ ডিসেম্বর এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়।