সকাল থেকে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু, জনমনে শঙ্কা
আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে ফের শুরু হচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতও একইসময় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে।
এর আগে এক দফা হরতাল পালন করে তারা। এতদিন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল-অবরোধ করলেও এবারের দাবিতে যোগ হয়েছে তফসিল বাতিল।


আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
হরতাল, অবরোধ, পরিবহণে অগ্নিসংযোগসহ হত্যা, খুনের ঘটনাও ঘটছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাইতো সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
এদিকে হরতালের আগে শনিবার রাতে রাজধানীতে ৪ বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
হরতাল কার্যকর করতে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাহসের সঙ্গে রাজপথে নামার আহ্বান জানান রিজভী। তিনি একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আহ্বান জানান।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন একই দল। এটি ছিল বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যায়।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে পণ্ড হয়ে যায়।