আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
নির্বাচন প্রশ্নে আলাদা হাঁটবে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে দেশটির সঙ্গে কথা বলেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এ বিষয়ে কালের কণ্ঠ কথা বলেছে নয়াদিল্লিভিত্তিক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপস্ট্র্যাটের সহপ্রতিষ্ঠাতা, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিকার্ড এম রসোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান- কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশের নির্বাচনসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। গত শুক্রবার দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের আলোচনায় বিষয়টি স্থান পেয়েছে। এর ফলাফল কী হতে পারে?রিকার্ড রসো : এখন সাধারণ মানুষের কাছেও স্পষ্ট হয়ে গেল যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতেরও একটি অবস্থান আছে। ভারতের সেই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিন্ন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
গাজায় আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না: ডব্লিউএইচও


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচএ) বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার কোনো খোঁজখবর তারা পাচ্ছে না। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে হাসপাতালটিতে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপত্তা নিয়েও সংস্থাটি গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আল শিফা হাসপাতাল গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় শনিবার আল শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, স্বাস্থ্যকর্মী, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুরাসহ শত শত অসুস্থ ও আহত রোগী এবং হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। সূত্র: প্রথম আলো
হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি চেয়ে তেল আবিবে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্ত করে আনার দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভ হয়েছে। খবর: আলজাজিরা’র-শনিবার রাতভর এই বিক্ষোভে কয়েক হাজার ইসরায়েলি অংশ নেন। হামাসের হাতে বন্দি হওয়া অনেক ইসরায়েলির স্বজনরাও এ বিক্ষোভ মিছিলে ছিলেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাওম পেরি’র বাবাকে নির ওজ শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজকে নাওম পেরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা যেন বিজয়ের কথা না বলেন, গাজাকে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়ার কথাই না বলেন। তারা যেন লোকজনকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা নেন।’ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং হামাস সদস্যরা ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে বন্দি করে। এরপর থেকে চলমান যুদ্ধে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু। সূত্র: সমকাল
ইসরাইলকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি এরদোগানের
ইসরাইলি সৈন্যরা গাজা উপত্যকায় টানা ৩৬ দিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ফিলিস্তিনের ১১ হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পারমাণবিক বোমা ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন ইসরাইলি এক মন্ত্রী। এর জেরে বেশ তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র, যার অস্তিত্ব ইসরাইলি মন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন, সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। খবর আনাদোলুর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরিভাবে আয়োজিত আরব-ইসলামিক যৌথ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সূত্র: যুগান্তর
বিবিসিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলকে অবশ্যই নারী শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে
হামাসের হামলার পর ফ্রান্স জোর গলায় ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। বলেছিল, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সব অধিকার আছে। তবে এবার হঠাৎ করে ভিন্ন সুর বেজে উঠল ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কণ্ঠে। ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে। গাজায় বোমা হামলার কোনো যুক্তি নেই এবং সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েল উপকৃত হবে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। গতকালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ‘স্পষ্টভাবে নিন্দা’ করছে ফ্রান্স। কিন্তু ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ‘গাজায় ইসরায়েলের এই বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা’। যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশের নেতারা তার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দিক- এটা তিনি চান কি না জানতে চাইলে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি আশা করি আমার আহ্বানের তারা যোগ দেবে। গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে প্যারিসে মানবিক সহায়তা সম্মেলনের পরের দিন -সূত্র: বিডি প্রতিদিন
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রশিক্ষণকালে একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড। খবর সিএনএন। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করা হয়েছে এক বিবৃতিতে। কী ধরনের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বা কতজন হতাহত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।ইউরোপীয় কমান্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সম্মান রক্ষার্থে এখন ওই দুর্ঘটনায় জড়িত কর্মীদের সম্পর্কে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না। সূত্র: বণিক বার্তা।
অস্ট্রেলিয়ার বন্দরগুলোর নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা, লকডাউন ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র ও নৌবন্দরগুলোর ওয়েবসাইট নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি কর্তৃপক্ষ। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নেটওয়ার্কের সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। গতকাল শনিবার থেকে এই নেটওয়ার্কে একপ্রকার লকডাউনই জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাতে প্রথমবারের মতো সাইবার হামলার বিষয়ে অবগত হয় অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়ার চারটি বন্দর—সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন ও ফ্রিম্যান্টলে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
কাঁদছে ফিলিস্তিনিরা, মুসলিম নেতারা হাসছেন!
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিন ঝরছে হাজারো ফিলিস্তিনির প্রাণ। ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় স্বজন হারিয়ে, সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব ফিলিস্তিনিরা কাঁদছে। অন্যদিকে হাসছেন মুসলিম নেতারা। ইসরায়েলের বর্বর হামলা থামানোর লক্ষ্যে শনিবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জড়ো হন মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। সম্মেলনে মুসলিম নেতাদের একে-অপরের সঙ্গে হাসাহাসি করতে দেখা গেছে। গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়ে কথা বলতে জড়ো হলেও; তাদের মুখে লেগেছিল হাসি! আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে এমন চিত্র। বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রকাশিত দুটি ছবির মধ্যে একটিতে দেখা গেছে, কাতারের আমির ও ইরানের প্রেসিডেন্ট কিছু একটা বলে হাসছেন। ওই সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মুখেও মুচকি হাসি দেখা যায়। অপর ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি হাসছেন। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সৌদির ক্রাউন প্রিন্স কোনো এক নেতাকে হাত বাড়িয়ে সম্মেলন মঞ্চে গ্রহণ করে নিচ্ছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর
গাজায় বোমা হামলা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হেজবুল্লাহর
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।’গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হেজবুল্লাহর উপপ্রধান ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।গত ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ১,০০০ বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।হামাসের ওই হামলার জবাবেই ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
২২ লাখ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ২২ লাখের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসব উদযাপন করা হয়েছে। দীপাবলি উৎসবের আগমুহূর্তে সর্যু নদীর তীরে এসব প্রদীপ প্রজ্বলন করে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন ভারতীয়রা।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) মন্দিরের শহরে হিসেবে খ্যাত অযোধ্যার সর্যু নদীর ৫১টি ঘাটে ২২ লাখ ২৩ হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নতুন করে নাম লেখান অযোধ্যাবাসী। অবশ্য এর আগেও সবচেয়ে বেশি প্রদীপ প্রজ্বালনের রেকর্ড অযোদ্ধার দখলেই ছিল।মূলত ২০১৭ সালে অযোধ্যায় যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় এলে এই দীপোৎসব উদযাপন শুরু হয়। ওই বছর প্রায় ৫১ হাজার প্রদীপ প্রজ্বলিত হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালে ৬ লাখ এবং ২০২১ সালে ৯ লাখের ঘর পার হয়ে যায়। ২০২২ সালে এসে এই প্রদীপের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ লাখের বেশি। সূত্র: কালবেলা