আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে টানা বৈঠকে এসএসবি
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) টানা বৈঠক হচ্ছে। গত জানুয়ারি থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এমন ৪৩টি বৈঠকের তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছর একই সময়ে এসএসবির বৈঠক হয়েছিল মাত্র ২৩টি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর প্রতি মাসে গড়ে ২২ কর্মদিবসের মধ্যে পাঁচ দিন শুধু পদোন্নতির জন্য বৈঠক হয়েছে।অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহজুড়েও ছিল পদোন্নতির বৈঠক। মাসের বাকি দিনগুলোতে বৈঠক চলবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের মধ্যভাগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তফসিল ঘোষণার পর কোনো পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ইসির পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ


গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
রাজনীতি ঠিক না হলে অর্থনীতি ঠিক হবে না
অর্থনীতির সংকট উত্তরণে বড় দুই দলের নির্বাচনী ইশতেহারে কৌশল থাকা দরকার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রার বিনিময় হার ও সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।
ব্যাংক খাতের দুর্বলতার কথা বারবার বলা সত্ত্বেও তা অস্বীকার করা হয়েছে।
রাজনীতি ঠিক না হলে অর্থনীতি ঠিক হবে না। অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হলে প্রয়োজন জনগণের রায়ে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। কারণ, সংস্কারের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রথম প্রতিষ্ঠান হলো রাজনীতি। এটিই বাকি সবকিছুর গন্তব্য ঠিক করবে। তাই আগামী নির্বাচনে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অর্থনীতিতে চলমান সংকটের উত্তরণকালীন কৌশল দরকার। গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলো আয়োজিত ‘অর্থনীতিতে সংকট কেন, উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাবেক ব্যাংকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন। বৈঠকে অর্থনীতির চলমান সংকটের কারণ, প্রয়োজনীয় সংস্কার, রাজনীতি, কৌশল—এসব বিষয় উঠে আসে। বক্তারা বলেন, অর্থনীতির বর্তমান সংকট এক দিনে তৈরি হয়নি। এটি এখন আর নির্দিষ্ট খাতেও সীমাবদ্ধ নেই। সব খাতে এ সংকট ছড়িয়ে পড়েছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে অর্থনীতির আকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়েনি। সূত্র: প্রথম আলো
ভোটের রোডম্যাপ চূড়ান্ত
আড়াই মাসের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পয়লা নভেম্বর শুরু হবে নির্বাচনি দিন গণনা। নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া শেষ করার টার্গেট মধ্য জানুয়ারি। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করার। রোডম্যাপে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণ এবং ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত ৯৪টি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা তথা রোডম্যাপে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটি কাজ শেষ করেই তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে ভোট গ্রহণের সম্ভব্য সূচি রাখা হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে হতে পারে। এ জন্য নভেম্বরের শুরু বা মাঝামাঝিতে তফসিল দেবে কমিশন।
সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র, জামানতের অর্থ প্রদানের রসিদ, মনোনয়নপত্র দাখিল-বাছাই সংক্রান্ত ফরম নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বিজি প্রেস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হবে। এর পরে নির্বাচনের আগাম প্রচারের পোস্টার-ব্যানারসহ সবকিছু অপসারণে আদেশ জারি করা হবে। এর পরপরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
একদফা দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলন
ঢাকায় সর্বাত্মক কর্মসূচির প্রস্তুতি বিএনপির
আজকের জনসমাবেশ থেকে ঘোষণা আসতে পারে মহাসমাবেশ ও ঘেরাওসহ লাগাতার কর্মসূচির
সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে বিএনপি। এবার ঢাকাকেন্দ্রিক সর্বাত্মক কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এজন্য দুর্গাপূজার পর কর্মসূচি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে আজ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ রয়েছে। এতে ব্যাপক লোকসমাগম হবে বলে আশা করছেন সিনিয়র নেতারা। এখান থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে। আগামী ২৭ অথবা ২৮ অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশ বা মহাসমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হতে পারে। আন্দোলন সুশৃঙ্খলভাবে সফল করতে ইতোমধ্যে সব পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনসমাবেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।সূত্র আরও জানায়, পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য শেষবারের মতো সরকারকে কড়া বার্তা দিতে চায় বিএনপি। সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে আজকের জনসমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগে আলটিমেটাম দেওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন নীতিনির্ধারকরা। পরে নেতারা মত দেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আলটিমেটামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি হাইকমান্ড। তবে পরবর্তী কর্মসূচি ঢাকায় জনসমাবেশ বা মহাসমাবেশ ঘোষণার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর লাগাতার কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অভিমুখে পদযাত্রা ও ঘেরাও এবং সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের মতো কর্মসূচি। সূত্র: যুগান্তর
ডলারের দর নিয়ে উভয় সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কয়েক মাস ধরে কমছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। ডলার সংকট না কাটার পেছনে এটাও অন্যতম কারণ। এ পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্স বাড়াতে ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে না রেখে পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকে। সফররত আইএমএফ মিশনও এমন সুপারিশ করেছে। আবার অনেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ চাইছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, একদিকে রেমিট্যান্স বাড়ানোর তাগিদ যেমন রয়েছে, তেমনি ডলারের দর পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করলে আমদানিপণ্যের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতি আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় ডলারের দর নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের অনেকেই বলছেন, বাজারভিত্তিক করলেই সংকট কেটে যাবে, তা নয়। এ জন্য সবার আগে অর্থ পাচার ও হুন্ডি চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যাংকের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কেননা আন্তর্জাতিকভাবে ডলারের সুদহার এখন ৯ শতাংশের মতো। এর সঙ্গে বিনিময়হারজনিত লোকসান হিসাব করলে অনেক ক্ষেত্রে তা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হয়। এ কারণে বেসরকারি খাত এখন বিদেশি উৎস থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো ডলার কিনে আগে নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধ করছে। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণের পরও সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে বড় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ঘাটতি মেটাতে আসল জায়গায় হাত না দিয়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুত্র: সমকাল
বিভিন্ন মামলায় জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বিভিন্ন মামলায় আগে থেকে যাঁরা জড়িত, তাঁদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাঙচুর, অগ্নি-সন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যাঁরা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নতুন করে গ্রেপ্তারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।’নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে, সেই নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয়, সেটার জন্য নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহু দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দু-একটি দল অংশ না নিলে সেই নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে, সেটা তাদের ব্যাপার।’ সূত্র; আজকের পত্রিকা।
কোনো সুযোগই দেবে না আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক দফার আন্দোলনে থাকা বিরোধী দল বিএনপিকে কোনো ধরনের সুযোগই দেবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির যেকোনো কর্মসূচির বিপরীতে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। আন্দোলন করতে গিয়ে বিরোধী দলগুলো সহিংসতার পথ বেছে নিলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে দমনের পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীনরা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজপথে সক্রিয় থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। অন্যদিকে একই সময়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ করবে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সমাবেশ থেকে আগামীতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমাবেশে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সহিংসতার আশঙ্কার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকার দলটির নেতাদের মধ্যে। সূত্র; দেশ রুপান্তর
‘সংলাপ বহুদূর, রাজপথেই নজর’
নির্বাচনের আগে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থান নিয়ে দৈনিক সমকালের শিরোনাম, ‘সংলাপ বহুদূর, রাজপথেই নজর’। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এখনো তাদের নিজেদের অবস্থানে অনড়। সংলাপ ও সমঝোতার কোন লক্ষণ নেই। উল্টো দুই দলই রাজপথের দখল নিতে চায়। এরমধ্যে ঢাকায় আজ বিএনপি তাদের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করবে। এই সমাবেশ থেকে দলটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আল্টিমেটাম দেয়া হতে পারে। ছাড়া দুর্গাপূজার পর মহাসমাবেশসহ আরো আন্দোলনের কর্মসূচি আসতে পারে। দলটি বলছে, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ধরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় দলটি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
পরিবহন ধর্মঘট: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০ সড়কে বাস বন্ধ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে ‘রুটপারমিটবিহীন’ বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ১২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ ডাকে এ ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান, কক্সবাজার জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার ২০টি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ আছে।ঐক্য পরিষদের জ্যেষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা বিডিনিউজ টায়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এর আগে গত ৯ অক্টোবর একই দাবিতে আমরা দুই ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট ডেকেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ ১২ ঘণ্টার এ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।”সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। ধর্মঘটের কারণে ঢাকা থেকে আসা বাস ছাড়া কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়কে অন্য কোনো বাস চলাচল করছে না বলে জানান তিনি। সূত্র: বিডি নিউজ
প্রাথমিক বিদ্যালয়
পদোন্নতি না নিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের আবেদন
দেড় দশক পর পদোন্নতিজট খুলেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন। গত দুই মাসে তিন জেলায় পদোন্নতি পেয়েছেন পৌনে পাঁচশো শিক্ষক। শূন্য রয়েছে আরও প্রায় ২৯ হাজারের মতো পদ। নির্বাচনের আগেই প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদগুলো পূরণ করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু যোগ্য বহু শিক্ষক পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। শেষ বয়সে প্রধান শিক্ষক হওয়াটা তাদের কাছে এখন ‘উটকো’ ঝামেলার। পদোন্নতিটাও ‘তেতো’। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। উপজেলা পর্যায় থেকে পদোন্নতিযোগ্য শিক্ষকদের তালিকাও (গ্রেডেশন) করা হয়েছে। যারা তালিকার ওপরের সারিতে রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। এতে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক বিপত্তি, দ্রুত তা কেটে যাবে। সূত্র: জাগো নিউজ