হোটেল মালিকের বন্ধু হাজারো পাখি
এক হোটেল মালিকের বন্ধু হাজারো পাখি । শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবতা দেখলে যে কেউ বিস্মিত হবে । খেতে দেওয়ার সাথে সাথে এ গাছ-ও গাছ, এ ছাদ-ও ছাদ থেকে যে যেখানে আছে সবাই চলে আসে উড়ে। এমনই ভিন্ন রকমের ভালোবাসা দেখে পথিকও দাড়িয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য । ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্যস্ততম গাড়াগঞ্জ বাজারের ।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাখিগুলোর অপেক্ষা কখন আসবে তাদের বন্ধু । ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জে অবস্থিত ঘোষ সুইটস এর মালিক মিলন ঘোষের ছেলে জয়ন্ত ঘোষ এসেই শুরু করেন খাবার দিতে । যেখানে একটি কাক-পক্ষিও ছিল না হঠাৎ করে নেমে আসতে শুরু করে হাজারো পাখি । কিচির মিচির শব্দে যুদ্ধ শুরু হয় খাবার খাওয়ার । এ ঘটনা চলতে থাকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী । হাজারো “গাঙ শালিক” এক সাথে নেমে পড়ে । রাতে হোটেলের বেঁচে যাওয়া রুটি, পরোটা ছিঁড়ে ছিটিয়ে দিলেই চলে খাবার খাওয়ার এ মহোৎসব । সাধারণ মানুষও চলতে পথে এমন দৃশ্য দেখে না থেমে পারেন না । তারাও উপভোগ করতে থাকেন এ বিরল দৃশ্য একপলক দেখার অপেক্ষায় । বেলা বাড়ার সাথে সাথে কোথায় যেন হারিয়ে যায় গাঙ শালিকের দল ।


এলাকাবাসী সম্রাট হোসেন জানান, এমন দৃশ্য আমরা খুব কমই দেখতে পাই । পাখির প্রতি মানুষের এমন বিরল ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে । অত্যন্ত ব্যস্ততম এ বাজারে মানুষের কোলাহলের সাথে পাখির এমন বন্ধুত্ব সবাইকে অবাক করে ।
সত্তুর বছরের কিরামত আলী জানান, এ ঘটনা প্রায় ২০ বছরের উপরে ধরে দেখে আসছি । আমরা অবাক হয়ে যায় পাখির প্রতি মানুষের এমন বিরল ভালোবাসা দেখে । বেলা বাড়ার সাথে সাথে ওরা কোথায় যে হারিয়ে যায় তা আজও জানা যায়নি । তবে ভোর হলেও চলে মিলন মেলা ।
শৈলকুপা গাড়াগঞ্জ বাজারের ঘোষ সুইটসের স্বত্বাধিকারী জয়ন্ত ঘোষ জানান, আমার বাবা-চাচারা ২০ বছরের উপর এ পাখির খেদমত করে আসছে । এখন আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি । একসময় পাখি কম আসলেও এখন দিনের পর দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে । হাজারো পাখির মিলন মেলা দেখতে ভালোই লাগে ।
সারাদিন. ৮ অক্টোবর