বিমানে এলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির প্রথম চালান

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফাইল ছবি

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল (তেজস্ক্রিয় জ্বালানি) বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার একটি চার্টার্ড উড়োজাহাজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ইউরেনিয়াম খালাস করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর প্রথম ব্যাচের এ জ্বালানি এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর।

আগামী ৫ অক্টোবর রূপপুর প্রকল্পে এ জ্বালানি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এ জ্বালানি হস্তান্তর করবেন।

প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণ করা হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ব্যয়ের মধ্যে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটটি আগামী বছর চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই প্রথম ইউনিটের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের কথা রয়েছে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। হস্তান্তরের এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

Nagad

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওই কারখানা থেকে বিশেষ বিমানে জ্বালানি ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আনা হয়েছে। এরপর তা সড়কপথে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রকল্প সাইটে নেওয়া হবে। এ ইউরেনিয়াম পরিবহনে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রকল্পটিতে ২৪ থেকে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করবে প্রকল্পটি।

রূপপুর বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। রূপপুর পাবনা জেলায় অবস্থিত হওয়ায় পাবনাবাসীও গর্বিত। ১৮০০ রাশিয়ানসহ মোট ৮ হাজার প্রকৌশলী ও শ্রমিক দিনরাত নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছেন।