আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
গোল আলুর গোলমেলে হিসাব, দাম সর্বোচ্চ
দেশে গোল আলুর উৎপাদন ও চাহিদা নিয়ে গোলমেলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবের মধ্যেই তথ্যের ফারাক দেখা যাচ্ছে। উৎপাদন–চাহিদার এমন হিসাবের মতো বাজারেও আলুর দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। গত এক মাসে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে কেজিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় পৌঁছেছে। যা প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।সরকার গত বৃহস্পতিবার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৩৫-৩৬ টাকা (হিমাগার পর্যায়ে ২৬-২৭) বেঁধে দিয়েছে। যদিও গতকাল শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, রায়েরবাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে বেঁধে দেওয়া দরে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি।কৃষিবিশেষজ্ঞদের মতে, পণ্যের উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক হিসাব না থাকলে বাজারে কেউ কেউ অবৈধ সুযোগ নেয়। কর্তৃপক্ষও যথাযথভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আর বিভিন্ন সংস্থা যে পরিমাণ আলুর উৎপাদনের কথা বলছে, তাতে বাজারে এমন পরিস্থিতি হওয়ার কথা নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উৎপাদন বেশি হওয়ায় মৌসুমের শেষ সময়ে আলু পচে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে এত দিন আলুর দাম চাল-আটার তুলনায় কম থাকায় গরিবদের অনেকে আলু খাওয়া বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহে বাজারে চাল, আটা ও আলুর দাম প্রায় সমান হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে গরিবদের খাবার খরচে। সূত্র: প্রথম আলো


সরকারের আওয়াজ বাজারে পৌঁছায়নি
রাজধানী ঢাকায় গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে সরকার নির্ধারিত পাঁচটি নিত্যপণ্যের নতুন দাম কার্যকর হতে দেখা যায়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এ ছাড়া চিনির দাম আগেই নির্ধারণ করা ছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ওই দিন এই পাঁচ পণ্যের নির্ধারিত দামের কথা উল্লেখ করে বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে। সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ডিম প্রতিটি ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা দামে বিক্রি হওয়ার কথা। এ ছাড়া খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা এবং প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা, খোলা তেল ১৪৯ টাকা ও পাম তেল ১২৪ টাকায় বিক্রি করার কথা।গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, তালতলা ও কারওয়ান বাজারে ঘুরে উল্লিখিত দামে কোথাও এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আমদানি ও সরবরাহ না বাড়ালে সরকার এবারও পাঁচ পণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবে না বলে দাবি করেছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও ব্যবসায়ীরা।এর আগেও সরকার থেকে নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করার পর তা কার্যকর হতে দেখা যায়নি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে খোলা চিনি ১০৭ থেকে কমিয়ে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার। কিন্তু সেই দাম ব্যবসায়ীরা মানেননি। তখন বাজারে চিনি ১১২ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সূত্র: কালের কণ্ঠ
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থার্ড টার্মিনাল
♦ ৭ অক্টোবর উদ্বোধন ♦ ৮৫ শতাংশের বেশি কাজ শেষ ♦ প্রস্তুত তিনটি বোর্ডিং ব্রিজ
সিলিংয়ে সোনালি, সাদা, আকাশি রঙের চোখ ধাঁধানো কারুকাজ। মেঝেতে লাগানো হচ্ছে বাহারি টাইলস। চারপাশের নীল কাচে শেষ বিকালের আলো ঠিকরে পড়ে তৈরি করছে এক মোহনীয় দৃশ্যপট। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় (থার্ড) টার্মিনালের ভিতরে প্রবেশ করলে অনিন্দ্যসুন্দর এ কর্মযজ্ঞে যে কারও চোখ আটকাতে বাধ্য। উদ্বোধনকে সামনে রেখে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে দেশের অন্যতম মেগাপ্রকল্প হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পে ৮৫ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘থার্ড টার্মিনাল নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। অক্টোবরে এ প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধনের (সফট ওপেনিং) সময় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিলিংয়ের কাজ শেষ। মেঝের টাইলস লাগানোর কাজ চলছে। বাইরের গ্লাস লাগানোর কাজ শেষ। যন্ত্রপাতি লাগানো হচ্ছে। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।’ সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উদ্বোধন উপলক্ষে টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলা প্রস্তুত করা হচ্ছে। চলছে রঙের কাজ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সংযোজন করা হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ করবেন। এরপর উদ্বোধন করে বোর্ডিং ব্রিজ দিয়ে উড়োজাহাজে প্রবেশ করবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
আগাম ডলারই ভরসা আমদানিকারকদের
বাজারে আগাম বা ফরোয়ার্ড ডলার বেচাকেনায়ও দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে আগাম ডলার এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ৬৪ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৮৫ পয়সা। কোনো কোনো ব্যাংকে ১১৪ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক আমদানির দেনা ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যাংকগুলো আগাম ডলার কিনে রাখে। বাণিজ্যিক পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি আমদানিতেও এখন একমাত্র ভরসা আগাম কেনা ডলার। এর বেশিরভাগই ব্যবহৃত হয় আমদানির দেনা পরিশোধে। এতে আমদানি পণ্যের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাজারে এসব পণ্যের দামও বাড়ছে। অন্যান্য পণ্যের দামেও এর প্রভাব পড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়ছে। বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১১০ টাকা দামেও ব্যাংকে আমদানির ডলার মিলছে না। এমনকি আন্তঃব্যাংকেও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়েই চড়া দামে এক মাস থেকে এক বছরের আগাম ডলার কিনে রাখতে হচ্ছে। গত ৩ আগস্ট থেকে ডলারের নতুন বাড়তি দর কার্যকর হয়েছে। ওইদিন থেকে আমদানিতে প্রতি ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১১০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। নতুন দর কার্যকর হওয়ার দুই দিনের মধ্যেই এর দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ ১১০ টাকায় ওঠে। আগে মাসের শেষদিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠত।
ব্যাংকগুলোর আমদানি ও বৈদেশিক ঋণের দায় মিটিয়ে অতিরিক্ত ডলার থাকলে সেগুলো আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বিক্রি করতে পারে। এখানেও সর্বোচ্চ ১১০ টাকা দামে বিক্রি করতে হবে। এর বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। তবে ব্যাংকগুলো ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক টাকা মুনাফা করতে পারবে। কিন্তু সব ব্যাংকই এখন সর্বোচ্চ দামে ডলার কিনছে। অর্থাৎ রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্স কিনছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে। বিক্রি করছে ১১০ টাকা দামে। মুনাফা থাকছে ৫০ পয়সা। কিন্তু এর সঙ্গে পরিচালন ব্যয় রয়েছে। ফলে ডলার বেচাকেনা থেকে এখন মুনাফা অনেক কমে গেছে। এ কারণে আন্তঃব্যাংকে দাম কম হওয়ায় ব্যাংকগুলো এখানে ডলার বিক্রি করছে না। যেসব ব্যাংকের কাছে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত কিছু ডলার থাকছে সেগুলো তারা বেশি দামে আগাম বা ফরোয়ার্ড বিক্রি করছে। কারণ ওখানে ডলার বেশি দামে বিক্রি করা যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি মাসেই যেহেতু ডলারের দাম ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে, এ কারণে আগাম বাজারে একটু বেশি দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর
বই পড়ায় আগ্রহ নেই, ব্যস্ততা বিসিএস নিয়ে
প্রতিদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রবেশের দীর্ঘ সারির চিত্র অনেকেরই অতি পরিচিত। গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য রাত ১২টা থেকে ব্যাগ দিয়ে সিরিয়াল রাখার তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সারারাত পেরিয়ে সকাল ৮টায় প্রবেশদ্বার খোলার আগ পর্যন্ত এই সারি গড়ায় ৮০ মিটার দূরে কলাভবন ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে কলাভবন পর্যন্ত। অথচ গ্রন্থাগারের ১৫ শতাধিক আসনের বিপরীতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী বই নিয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে প্রায় ৬০০ আসনের বিপরীতে প্রতিদিন বই নিয়েছেন গড়ে দু’জন। বিগত বছরগুলোর তথ্যও একই রকম।গ্রন্থাগারের ইস্যুকৃত বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মোট ২ হাজার ৫০৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ৪৭৭ জন, মার্চে ১ হাজার ৯৭৬ জন, এপ্রিলে ৬৩১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৮৮৬ জন, জুনে ১ হাজার ৮১৮ জন বই নিয়েছেন। বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে জানুয়ারিতে ৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১১৬ জন, মার্চে ১২৮ জন, এপ্রিলে ৪১ জন, জুনে ৪২ জন বই নিয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রতুল আবাসন ব্যবস্থায় পড়ার পরিবেশ নেই। অন্যদিকে হলগুলোতে পাঠকক্ষও পর্যাপ্ত নয়। তাই সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গ্রন্থাগারের একটি আসন ভালো পছন্দ বটে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে সকাল ৮টায় প্রবেশ করে একটি আসন নিতে পারলে সেদিন রাত ১০টা পর্যন্ত আসনটি তাঁর দখলে থাকে। সূত্র: সমকাল
সবাইকে রাঙিয়ে রিক্ত মতিঝিল
ব্যাংকপাড়াখ্যাত মতিঝিল এখন মৃতপ্রায়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে না পারায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যত্র সরে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির চাকা ঘোরানো মতিঝিলে আবাসিক ভবন, শপিং মল, হোটেল, উন্মুক্ত স্থান তৈরি না হলে দেশের প্রধান এই বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রাণ হারাবে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের মতে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় অবদান রয়েছে মতিঝিলের টাকার। শুধু তা-ই নয়, মতিঝিলে উপার্জিত অর্থে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দুবাই, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডাসহ আরও অনেক দেশে। এখানকার উপার্জিত টাকা অনেকে জমা রেখেছেন সুইস ব্যাংকেও। শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মতিঝিলে। এ যেন মা কাঁকড়ার আত্মত্যাগের গল্প। মা কাঁকড়া বাচ্চাদের আগলে রাখে বুকের ভেতর; যেদিন বাচ্চাগুলো বের হয়ে আসে, সেদিন খোলস ছাড়া মা কাঁকড়ার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। মা কাঁকড়ার মতো দুঃখী ও ত্যাগী বাণিজ্যিক মতিঝিল।ষাটের দশকে মতিঝিলে গড়ে ওঠে দেশের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল (সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট-সিবিডি)। সেই থেকে এখনো দেশের প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চল মতিঝিল।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে সরকারি ৮টি, বেসরকারি ৪৫টি এবং বিদেশি ব্যাংক রয়েছে ৮টি। এ ছাড়া ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৮১টি বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকের বেশির প্রধান কার্যালয় চলে গেছে কারওয়ান বাজার, গুলশান-বনানী ও উত্তরায়। নতুন করে যেসব ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাচ্ছে, সেগুলোর প্রধান কার্যালয় মতিঝিলের বাইরে করা হচ্ছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর।
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দিচ্ছে ইইউ পার্লামেন্টের প্রস্তাব, এড়ানোর ‘সুযোগ কম’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে (ইপি) বাংলাদেশ সম্পর্কে গত বৃহস্পতিবার পাস হওয়া প্রস্তাবটি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কসংকেত। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তাবটি কেবল দলীয় রাজনৈতিক অবস্থান কিংবা বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখে দেশের সামগ্রিক স্বার্থে বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
প্রস্তাবে দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন রাজনৈতিক অধিকার ও বিভিন্ন মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলা হয়েছে। অধিকারের মামলাটিকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আনা প্রস্তাবটির একটি অনুচ্ছেদে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার মধ্যেও বাংলাদেশের জন্য ইইউভুক্ত অঞ্চলে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য (এভরিথিং বাট আর্মস বা ইবিএ) রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারের সঙ্গে যা করা হলো, তা নিন্দনীয় পশ্চাদযাত্রা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কি না, প্রস্তাবে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়। ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রস্তাবটি পাস করে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
বঙ্গোপসাগরে ৫ দিন ধরে ভাসতে থাকা ১৭ জেলে উদ্ধার
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়ীয়া এলাকায় পাঁচ দিন ধরে ভাসতে থাকা ১৭ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। শনিবার সকাল ৮টার দিকে বিকল ট্রলারসহ ওই জেলেদের উদ্ধার করা হয়।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের (মোংলা) স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শেখ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, এফ. বি. মা নামের একটি ফিশিং ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৭ জেলে সাগরে ভাসার খবর পান তারা। তারপর প্রযুক্তির মাধ্যমে শুক্রবার ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকা ওই ফিশিং ট্রলারটি অবস্থান শনাক্ত করেন কোস্ট গার্ড। এরপর শনিবার সকাল ৮টায় মোংলা কোস্ট গার্ডের আওতাধীন কাগা-দোবেকি, দোবেকি ও কচিখালী ষ্টেশনের কোস্ট গার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ১৭ জেলেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর ওই জেলেদেরকে মান্দারবাড়ী ফরেস্ট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাদেরকে পরবর্তীতে বরগুনার পাথরঘাটার কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মোংলা কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা।এদিকে জেলে মহাজন গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বরগুনা জেলার পাথরঘাটার বাদুরতলা গ্রামের মো. সালামের মালিকানাধীন এফ. বি. মা নামের ট্রলারটি ১৭ জন জেলে নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর মাছ ধরার জন্য-দৈনিক বাংলা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় কী হয়, এর গুরুত্ব কতটা?
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সারা বিশ্বের সব দেশের নেতারা বৈঠকে বসেন এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। একই মঞ্চে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতা ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একে অপরের সাথে সাক্ষাত হয় বলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এই সভাকে ‘কূটনৈতিক স্পিড ডেটিং’ ইভেন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন অনেক কূটনীতিক। এবারের সাধারণ পরিষদের সভায় প্রধান আলোচনা বিষয় থাকবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুটি। এর পাশাপাশি প্রাধান্য পাবে ইউক্রেন যুদ্ধও।কিন্তু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কেন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা? জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গুরুত্বই বা কী?
জাতিসংঘ ও সাধারণ পরিষদ-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে যখন জাতিসংঘ গঠন করা হয়, তখন এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যত প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের আভাস
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। নিবারের (১৬ সেপ্টেম্বর) পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, উত্তর ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সূত্র: বাংলানিউজ