আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৩

৬ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচা, তবু ডুবছে চট্টগ্রাম শহর
৬ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও সুফল নেই। সময় যায়, খরচ বাড়ে, প্রকল্প শেষ হয় না। অপরিকল্পিত কাজ এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান চারটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। গত ছয় বছরে এসব প্রকল্পের পেছনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও নগরবাসী এর সুফল পাননি; বরং জলাবদ্ধতা এবার বেড়েছে। চলতি বছরের ৭ মাসে চট্টগ্রাম শহর ডুবেছে ১০ বার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত কাজ এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে আগামী দুই বছরেও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বলছেন, শেষ মুহূর্তে এসে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া, ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্প সংশোধন জটিলতার কারণে নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে আগামী বছরের জুনে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। প্রকল্পের মেয়াদ আরেক দফা বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরের দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা দূর করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) দুটি, সিটি করপোরেশন একটি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চার প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। ছয় বছরে এসব প্রকল্পের আওতায় খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। সূত্র: প্রথম আলো

আয়ুর্বেদীয় ওষুধকে উপযোগী করার উদ্যোগ

ট্র্যাডিশনাল তথা আয়ুর্বেদীয় ওষুধ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে তারা এই খাতের ওষুধের সব তথ্য-প্রমাণ ও উপাত্ত সংগ্রহ করতে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে। আয়ুর্বেদ ওষুধের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার দেখা যায়।সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরভিত্তিক বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থাটি জানায়, ‘ডাব্লিউএইচও ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন গ্লোবাল সামিট’ শীর্ষক সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নীতিনির্ধারক এবং এই খাতের পণ্ডিতদের এক কাতারে এনে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও তথ্য-প্রমাণভিত্তিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জোর দেওয়া।ভারতের গুজরাট রাজ্যের গান্ধীনগরে গতকাল থেকে শুরু হওয়া সম্মেলন চলবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো নিয়ে গঠিত জি২০ জোটের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনের পাশেই ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের সম্মেলনটি চলছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবার এই চিকিেসবা নেয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বজনীন পেনশন
স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসছে দুই স্কিম

সরকারি কর্মচারী এবং স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) আওতায় আনা হবে। এ জন্য আরও দুটি স্কিম পরে সুবিধাজনক সময়ে চালু করা হবে। পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের দিনেই অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মসূচির চারটি স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিমটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ১৮ বছরের বেশি দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সূত্র: সমকাল

Nagad

সর্বজনীন পেনশন যুগে দেশ
পাবেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, বৈষম্য দূর হবে : প্রধানমন্ত্রী

বহুল আকাক্সিক্ষত সর্বজনীন পেনশনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। চার শ্রেণির নাগরিককে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি। আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এখন থেকে সব শ্রেণি-পেশার নাগরিক পেনশন পাবেন। এর মাধ্যমে সমাজের বৈষম্য দূর হবে। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ নিয়মিত চাঁদা দিয়ে এই পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন। এর অংশ হতে পারবেন প্রবাসীরাও। এর মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে দেখায়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম তার প্রমাণ। এটাই আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয়। এ সময় গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন তিনি। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য এতে চারটি স্কিম থাকছে। সর্বজনীন পেনশন বিধিমালায় পৃথক চারটি স্কিম হলো : প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘প্রবাস স্কিম’, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য ‘প্রগতি স্কিম’, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য ‘সুরক্ষা স্কিম’ ও স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য ‘সমতা স্কিম’। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

সবজির বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য, ঠকছেন কৃষক-ভোক্তা
মাঠ থেকে খুচরা পর্যায়ে মূল্যের ব্যবধান কয়েক গুণ * রাজধানীর তিন পয়েন্টে দিতে হচ্ছে চাঁদা * পাইকারি বাজারে চলছে কমিশন বাণিজ্য
সব ধরনের সবজিতে ভরপুর রাজধানীর খুচরা বাজার। তবুও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে। কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে চার থেকে পাঁচবার হাতবদল হচ্ছে। এতেই দুই থেকে চার গুণ দাম বেড়ে যাচ্ছে। তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে আরও বেশি। ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য, আড়ত এবং সড়কে চাঁদাবাজি দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে।এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থার কারণেই মূলত মধ্যস্বত্বভোগী লাভবান হলেও মাঠে কৃষক ও বাজারে ভোক্তারা ঠকছেন বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে, দালাল-ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য এবং পথে পথে চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই।এদিকে সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সবজির দামবিষয়ক প্রতিবেদনেও এমন তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সবজির দাম বৃদ্ধির পেছনে পরিবহণ চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীসহ অনেক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। তবে বছরের পর বছর এমন চিত্র দেখা গেলেও সংশ্লিষ্টরা প্রায় নির্বিকার। যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পণ্য উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হচ্ছে। এর মধ্যে আছে-স্থানীয় ব্যবসায়ী, মজুতদার, আড়তদার, পাইকারি ব্যবসায়ী, প্রক্রিয়াজাতকারী, কেন্দ্রীয় বাজার বা টার্মিনাল, খুচরা বাজার, খুচরা ব্যবসায়ী ইত্যাদি। প্রতিটি ধাপেই সবজির মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। সূত্র; যুগান্তর

বালি উত্তোলন, দখল-দূষণে ভরাট নদীগুলো গতিপথ বদলাচ্ছে
ঝুঁকিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন

দক্ষিণ চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকার বড় বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পাশের পার্বত্য চট্টগ্রামের রিজার্ভ ফরেস্ট কমে গিয়ে আঞ্চলিক ভাটি এলাকায় পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের নদীগুলো দখল-দূষণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়েছে। উপকূলকে কেন্দ্র করে নেয়া একাধিক মেগা প্রকল্প ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকলেও অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রতিবেশগত ঝুঁকিতে পড়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামকে ঘিরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক, রেলপথ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্রবন্দর, ট্যুরিজম পার্কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণকাজ চললেও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। পাহাড় কাটা, বন উজাড় ও দখলে পরিবর্তন হচ্ছে নদীর গতিপথ। সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের একাধিক নদীতে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপচে পড়া পানিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের অনিয়ন্ত্রিত অবকাঠামো নির্মাণ, সংরক্ষিত বন নিধনের ফলে উজান থেকে পানিপ্রবাহও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের নদ-নদীর গতি পরিবর্তন অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। সূত্র; বণিক বার্তা।

ভারত-ভিয়েতনামের মতোই সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের: এইচএসবিসি

ভারত ও ভিয়েতনামের শেয়ারবাজারের মতোই সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের। বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া, ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণেই বাংলাদেশে করপোরেট আয় বেড়েছে। আর এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উচিত বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের দিকে মনযোগ দেওয়া। গত ১৬ আগস্ট প্রকাশিত মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনভিত্তিক বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি বাংলাদেশের শেয়ারবাজার নিয়ে এই মন্তব্য করেছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

মৈত্রীর পরীক্ষায় দ্বিপক্ষীয় লাভ

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক অবরোধ তথা নানামুখী নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে থাকে রাশিয়া। কিন্তু কমদামে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনে রুশ অর্থনীতিকে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করে দুটি দেশ, চীন ও ভারত। ভারত রাশিয়ার দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠতার মধ্যেও প্রথাগত মৈত্রী অটুট রেখেছে দিল্লি-মস্কো। এই মৈত্রীতে উপকার পাচ্ছে দুই দেশই। দিল্লি বিশেষ ছাড়ে মস্কোর তেল কেনায় ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম পণ্য রপ্তানিকারক হয়ে ওঠে রাশিয়া। এবার দুই মিত্রের দ্বিপক্ষীয় লাভের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করে, বিশেষ মূল্য ছাড়ে গম আমদানি করতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করছে ভারত। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের সবচেয়ে জরুরি খাদ্যশস্য গমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের এ পদক্ষেপ। কারণ দেশটিতে গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ১৫ মাসে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। রাশিয়া থেকে গম কিনলে কেবল ভারতের একার উপকার হচ্ছে এমন নয়। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য বহনে পশ্চিমা বাধা এবং আন্তর্জাতিক লেনদেন নেটওয়ার্ক সুইফটে বিচ্ছিন্ন মস্কো নিজেও দিল্লিকে গম দিয়ে উপকৃত হতে যাচ্ছে। যদিও গম আমদানির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাশিয়া থেকে গম আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ভারতের সরকার বেসরকারি পর্যায়ে এবং সরকার থেকে সরকারের চুক্তির মাধ্যমে গম আমদানির সম্ভাবনা পর্যালোচনা করছে। এই বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারত গত কয়েক বছর কূটনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে গম আমদানি করেনি। এর আগে, সর্বশেষ ২০১৭ সালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম আমদানি করেছিল ভারত। ওই সময় রাশিয়ার বেসরকারি ব্যবসায়ীরাই ৫৩ লাখ টন গম পাঠিয়েছিল ভারতে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

কক্সবাজার রেললাইন: ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পানিতে ডুবলো কেন?

বাংলাদেশে জনপ্রিয় পর্যটন শহর কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। রেলপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবার আশায় অপেক্ষায় থাকা অনেকেই নতুন রেললাইনের ভগ্নদশা দেখে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের এ মেগা প্রকল্প কতটা জলবায়ুর বান্ধব, টেকসই আর পরিকল্পিত হচ্ছে তা নিয়েও।
অগাস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রেললাইনটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় আধা কিলোমিটার জুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে রেললাইন উঁচু-নিচু হয়ে আছে। স্লিপারের মাঝে পাথর সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সংস্কার ছাড়া এ পথে রেল চলাচল শুরু করা একেবারেই অসম্ভব। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: কাজ গোছাচ্ছে ইসি; নেমেছে কেনাকাটায়

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবিরে বিরোধ শঙ্কা ছড়ালেও নির্দিষ্ট সময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।ভোটের জন্য ১১ ধরনের মালামাল কেনার দরপত্র হয়েছে।এরমধ্যে কিছু সরবরাহও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। প্রায় ১২ কোটি ভোটারের বিপরীতে এবার নতুন করে ৮০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট কেনা, অমোচনীয় কালিসহ নানা ধরনের নির্বাচন সামগ্রী কেনাকাটা, আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণ, নির্বাচনী ম্যানুয়াল তৈরি ও মনোনয়নপত্র মুদ্রণ, ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করাসহ আনুষাঙ্গিক কাজ নিয়ে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে একগুচ্ছ কাজের ফর্দ ধরে এগোচ্ছে ইসি।এবার ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা রেখে ভোটের ভাবনা থাকলেও তা থেকে সরে যেতে হয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটিকে। তবে প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভোটার, প্রার্থী, দল, প্রতীক ও ভোট কেন্দ্রের নানা ধরনের দিতে থাকছে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ, যা এখনও প্রক্রিয়াধীন। সূত্র: বিডি নিউজ