দেবরের হাতে মারধরের শিকার ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভাবির
মোংলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সৎ দেবর, ননদ ও শাশুড়ির হামলায় বাড়ি ভাংচুর, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় আহত জুই হালদার (২২) বাদী হয়ে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত সুত্রে জানায়, উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দিগরাজ এলাকার জনতা ব্যাংকের পার্শ্বে ভোগ দখলীয় বসত বাড়িতে জোর পুর্বক সৎ দেবর অপু হালদার (২১), সৎ ননদ শান্তা হালদার (২৫) ও সৎ শাশুড়ি সবরী হালদার (৪৫) সহ আরো অনেকে হামলা চালিয়ে টিনের একটি রান্নাঘর ভাংচুর করে। এতে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জুই হালদারের চুলের মুঠি ধরে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে। এ সময় তার মা ঝর্না হালদার (৪২) ও তার শাশুড়ী মঞ্জু রানী হালদারকে (৫৬) আহত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে জুই হালদারের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে তার সৎ দেবর অপু হালদার শ্রীলতাহানি করে।


ভুক্তভোগী জুই হালদার বলেন, আমার সৎ দেবর, ননদ ও শাশুড়িসহ সবাই মিলে যখন আমাকে একা পেয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে তখন আমার স্বামী এসে আমাকে উদ্ধার করে।
এসময় তার ডাকচিৎকারে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তার সৎ দেবর ও ননদ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও সুযোগ পেলে জুই হালদারের নাবালক শিশু বিশাল হালদার কে খুন জখম করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করারও হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অপু হালদার মারধর ও শ্লীলতাহানির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার বৌদিকে কোন মারধর বা শ্লীলতাহানি করিনি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মারামারির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।