একদিনে পেঁয়াজের দাম কমলো ২৫ টাকা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। এর মধ্যেই বাজারে অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে ও ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আমদানি অনুমতি বা আইপি দেয়ার খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছালে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে মসলাজাতীয় এ পণ্যের দাম।

রমজানের ঈদের আগেও যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা বাড়তে বাড়তে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রোববারও (৪ জুন) কেজিতে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিল।

বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের কেজি সেঞ্চুরি’ হাঁকায়। এমন পরিস্থিতি সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার ঘোষণা দেয়। ঘোষণার একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমেছে।

শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে বাজারে দাম কমে এসেছে। আজ বিভিন্ন স্থলবন্দরে পেঁয়াজের আইপিও দেওয়া হয়েছে। কাল-পরশুর মধ্যে এসব পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে এসে পৌঁছাবে।

এদিকে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধু পাইকারি বাজার নয়, আমদানির খবরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মোকামগুলোতেও পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মোকামে মণপ্রতি দাম কমেছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। গতকাল রোববার পাবনা ও ফরিদপুরে পেঁয়াজের মোকামে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকায়। সোমবার তা দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, যেই পেঁয়াজ একদিন আগেও ৯০ থেকে ৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছিল, সেই একই পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।

Nagad

আমদানি খবরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। গত অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ টন। এ হিসেবে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়।