এখনো সময় আছে, এসব খেলাধুলা বাদ দেন: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৩

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনো সময় আছে, এসব খেলাধুলা বাদ দেন। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার পথ থেকে সরে গিয়ে, অত্যাচারের পথ থেকে সরে এসে সোজা পথ ধরেন। একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের সাড়ে ১৩০০ মামলা নিয়ে সরকার মাঠে নেমেছে, যাতে আগামী নির্বাচনের আগে মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠনোর যায় এবং নির্বাচনে তারা প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে গোল দিতে পারে।

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছে। অত্যন্ত ক্ষোভ ও বেদনার সাথে লক্ষ্য করছি, যে মামলা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন, পুনরায় শুনানি করে সেসব মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মৃত্যু ঘনিয়ে আসার আগে যখন আর কোনোরকম আশা থাকে না, তখন মানুষ যে কোনো কিছু আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে। সরকার হামলা-মামলা দিয়ে সে চেষ্টাই করছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই দেশে একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন হওয়ার সুযোগ, বিরোধী দলের রাজনীতি করার, জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার কোথাও নেই। তাই আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, জনগণের অধিকারের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলনকে কোনো মামলা-মোকদ্দমা, সাজা দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। জনগণ জেগে উঠেছে এবং জনগণের উত্থানের মধ্য দিয়ে তাদের (সরকার) সরে যেতে হবে। একই সঙ্গে এ কথাও খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়া সম্ভব নয়।’

Nagad

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।