হৃদরোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ প্রায় স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে : প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হৃদরোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই রোগের চিকিৎসায় এখন আর বিদেশে যেতে হয় না। শতকরা ৯৫ ভাগ চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন হৃদরোগের চিকিৎসায় প্রায় স্বাবলম্বী। হৃদরোগের ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ চিকিৎসার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। এ লক্ষে দেশে দক্ষ জনশক্তি, আধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট মৃত্যুর ২৭ ভাগ হৃদরোগে হয়ে থাকে। এর জন্য দায়ী হলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস ঠিক না থাকা, ধূমপান করা ও কায়িক শ্রম না করা। এর জন্য আমাদের শুধু চিকিৎসা নয়, এই রোগের প্রতিরোধেও নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১১টি স্নাতকোত্তর সুপার বিশেষায়িত হাসপাতাল, কার্ডিওভাসকুলার হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতাল স্থাপনের পাশাপাশি সারা দেশে ৬০০ টিরও বেশি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা ১৮ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। হাসপাতাল থেকে ত্রিশ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, সারাদেশে ৪৩টি হাসপাতালে টেলি-মেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। যেখানে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক রয়েছে। এছাড়া পাঁচ লাখ অটিস্টিক শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ১০৩টি সেবা কেন্দ্র রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। একসময় যেসব রোগের চিকিৎসা দেশের বাইরে করতো হতো, এখন সেগুলো দেশেই হচ্ছে। কিডনি, লিভার, বনম্যারোসহ জটিল সব চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে। সারাদেশে আমরা ৬০০টি হাসপাতাল করেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। এসব ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ১১৫টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করব। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইতোমধ্যে ৪টি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

Nagad

বাংলাদেশ কার্ডিওভাস্কুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।