আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
বড় তিন হাসপাতালে ২৩৮ যন্ত্রপাতি নষ্ট
তালিকায় সবচেয়ে বেশি যন্ত্র নষ্ট ঢাকা মেডিকেলে।এরপর বেশি নষ্ট সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। কম নষ্ট মিটফোর্ড হাসপাতালে।
১৯ ধরনের যন্ত্রপাতি নষ্ট।
নষ্ট যন্ত্রপাতির মূল্য অন্তত ১০০ কোটি টাকা।
ঢাকা মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এমআরআই পরীক্ষা বন্ধ।


দেশের তিনটি প্রধান সরকারি হাসপাতালে ২৩৮টি যন্ত্রপাতি নষ্ট পড়ে আছে। এর মধ্যে অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া অচল হয়ে পড়ে আছে চারটি অ্যাম্বুলেন্স। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে হাসপাতালগুলোর দুরবস্থার এই চিত্র পাওয়া গেছে। তিনটি হাসপাতালের মধ্যে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল। হাসপাতাল ও যন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাবে হাসপাতাল তিনটিতে নষ্ট হওয়া যন্ত্রপাতির মূল্য অন্তত ১০০ কোটি টাকা। দুই সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল সেবা ব্যবস্থাপনা শাখা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই তিনটি হাসপাতালে যন্ত্রপাতির হিসাবের তালিকা দিয়েছিল। তাতে অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯ ধরনের যন্ত্রপাতির হিসাব ছিল। এসব যন্ত্রপাতির কতটি সচল, কতটি অচল এবং অচল যন্ত্রপাতির কতটি মেরামতযোগ্য নয়—তার সংখ্যা আলাদা করে তালিকায় উল্লেখ আছে।তবে ওই তালিকার বাইরে তিনটি হাসপাতালে আরও অনেক যন্ত্রপাতি আছে। কিছু যন্ত্র নষ্ট থাকার তথ্যও রয়েছে। যেমন তালিকায় দেখাচ্ছে ঢাকা মেডিকেলের একটি এমআরআই যন্ত্র চালু আছে, বাস্তবে একটিও চালু নেই। গত সোমবার ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, এমআরআই যন্ত্র সব নষ্ট। অন্যদিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনটি ডায়ালাইসিস যন্ত্র ও একটি আইসিইউ ভেন্টিলেটর যন্ত্র নষ্ট। কিন্তু তালিকায় এসব যন্ত্রের কোনো উল্লেখ নেই। সূত্র:
প্রথম আলো
খালেদা জিয়ার রাজনীতি
সরকারের বক্তব্য সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি
খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি। বিশেষ করে এই সময়ে বিষয়টির প্রতি আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে দলটির নেতাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে। এর মাধ্যমে সরকার কোনো কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বলেও মনে করছেন দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা বসে। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকের শুরুতে অনির্ধারিত বিষয় হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা, না করা নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য আলোচনায় স্থান পায়।বৈঠক সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য তাঁদের বক্তব্যে বলেছেন, সরকার কী কারণে বিষয়টি সামনে এনেছে, তা পরিষ্কার নয়। এর আগে একাধিকবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেও পরিষ্কার কোনো জবাব দেননি আইনমন্ত্রী। এবার তিনি হাসিমুখে যেভাবে খোলামেলা কথা বলেছেন, তাতে সন্দেহ হওয়াই স্বাভাবিক।দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে দুই নেতা বলেছেন, এ বিষয়ে বিএনপির কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত হবে না। তাঁদের যুক্তি, কী কারণে সরকার বিষয়টি সামনে এনেছে, কিছুদিনের মধ্যে তা অবশ্যই স্পষ্ট হবে। তত দিন পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাই ভালো। সূত্র: কালের কণ্ঠ
দুর্ভোগের নাম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
♦ ২৩২ কিলোমিটার পাড়ি দিতেই ১০-১৫ ঘণ্টা ♦ ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি ♦ গলার কাঁটা রাস্তার পাশের ২৭ কাঁচাবাজার ♦ ভয়াবহ যানজট ১০ স্পটে ♦ ঝুঁকি বাড়িয়েছে অর্ধশতাধিক ইউটার্ন ♦ ম্যানুয়াল টোল প্লাজায় গাড়ির দীর্ঘ সারি ♦ মহাসড়কে চলে রিকশা-ভ্যান
এক্সপ্রেসওয়ের কারণে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার যেতে লাগছে মাত্র ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট। সেখানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শিল্পনগরীকে সরাসরি যুক্ত করা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটারের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেক স্থানে ১ কিলোমিটার পাড়ি দিতেই লাগছে ঘণ্টার বেশি। এতে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানবাহনের তুলনায় কম লেন, মহাসড়কের পাশে হাটবাজার, চৌরাস্তাগুলোয় ওভারপাস-আন্ডারপাস-ইন্টারচেঞ্জ না থাকা, কিছুক্ষণ পরপর ইউটার্ন, ম্যানুয়াল টোল প্লাজা, মহাসড়কে রিকশা-ভ্যানের মতো ধীরগতির যানবাহন চলাচল, এমনকি রাস্তার ওপর দিয়ে হেঁটে মানুষ ও গবাদিপশু পারাপারের কারণে দিনের অধিকাংশ সময় যানজটে স্থবির থাকছে মহাসড়কটি। পরিসংখ্যান বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এ মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫০ শতাংশই রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ঘিরে আবর্তিত। মহাসড়কটির দুই পাশে গড়ে উঠছে নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী, প্রতিবেশী দেশের ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট এই সড়কের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে। ২০০৬-১৬ মেয়াদে মহাসড়কটি দুই থেকে চার লেনে উন্নীতকরণের সময় ডিজাইন ম্যানুয়ালে ট্রাফিক গ্রোথ ৮ শতাংশ হারে ধরা হলেও চালুর পরই মহাসড়কটিতে গাড়ির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
অডিও ফাঁস
ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ফের তালা ছাত্রলীগের
অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় দিনের মতো কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা ভিসির অপসারণ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে অগ্রিম চাকরির প্রশ্নফাঁস ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসির একাধিক অডিও ক্লিপ ফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিসিকে দুর্নীতিবাজ ও চোর আখ্যা দিয়ে রোববার ডে লেবার ও ‘অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ’ ভিসির পদত্যাগের দাবিতে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে। একই দাবিতে আজও তারা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর।
বিএনপির মুখপত্র দিনকাল কেন বন্ধ করে দেয়া হলো
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের একমাত্র সংবাদপত্র দৈনিক দিনকালের প্রকাশনা বন্ধের পরও পত্রিকাটি আবারো চালু করতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন মালিকপক্ষ। তারা বলছেন যে, এরইমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিবর্তে অন্য আরেকজনকে পত্রিকাটির প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার আবেদন করা হয়েছে।দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, “এই পত্রিকাটা চালু রাখার জন্য আমরা সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।”গত ২৬শে নভেম্বর, ‘প্রকাশক কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করায়’ পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিলের আদেশ জারি করে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। পরে পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষ গত ২৯শে ডিসেম্বর এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। একই সাথে তারা প্রকাশনাও চালিয়ে যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
পুঁজিবাজারে বিএসইসির সিদ্ধান্তে ‘ব্লক বৈষম্য’
তালিকাভুক্তির তৃতীয় বছরে নিজেদের সর্বোচ্চ আয় করে শেয়ার প্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পরও বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবির শেয়ারে আগ্রহ ফেরেনি পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ‘নো প্রাইস লিমিট’ বা মূল্যসীমা না থাকার দিন ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ‘ফ্লোর প্রাইস’ ৩০ টাকায়। তবে আগের কয়েক মাসের ধারাবাহিকতায় এদিনও ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। সারা দিনে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মাত্র ৩১ হাজার ৯২২টি শেয়ার হাতবদল হয় ৬৭ বারে। লেনদেন হয় ৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। তবে ‘ব্লক মার্কেটে’ তুলনামূলক আগ্রহ ছিল বেশি। সেখানে ৫টি ট্রেডে ৩৭ লাখ ৪২ হাজার টাকায় হাতবদল হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০টি শেয়ার। এই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ‘ফ্লোর প্রাইসের’ চেয়ে ১০ শতাংশ ছাড়ে ২৭ টাকায়।বাজারে ধস ঠেকাতে গত ৩১ জুলাই থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ফ্লোর প্রাইস’ দেওয়ার পর লেনদেন যখন তলানিতে নেমে যায়, সে সময় ‘ব্লক মার্কেটে’ এভাবে ১০ শতাংশ ছাড়ে শেয়ার বিক্রির সুযোগ দেওয়া হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। সূত্র: বিডি নিউজ
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাস
সুদ ব্যয় প্রক্ষেপণকে ছাড়িয়েছে, ভ্যাট আয় কমেছে
প্রতি বছরের মতো চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) বাজেটেও মোট পরিচালন ব্যয়ে সুদ পরিশোধের হার নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। যদিও অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই তা গোটা অর্থবছরের প্রক্ষেপণকে ছাড়িয়েছে। ঋণের সুদ বাবদ ব্যয়ের বোঝা আরো ভারী হয়ে এলেও কমেছে রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে বড় উৎস মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে আয়। বিষয়টিকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিচালন ব্যয়ে লাগাম টানার পাশাপাশি ভ্যাটসহ সার্বিক রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে আরো মনোযোগ দেয়া এ মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। না হলে তা সার্বিক অর্থনীতির জন্যই বড় বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিস্তৃত খাতভিত্তিক পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক খাতে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ, সামাজিক অবকাঠামো খাতে ২৬ দশমিক ১, সুদ পরিশোধ খাতে ১৯ দশমিক ৫, কৃষি খাতে ৬ দশমিক ৩, ভৌত অবকাঠামো খাতে ২ দশমিক ৮ এবং অন্যান্য খাতে দশমিক ৯ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রাখা ছিল। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে সরকারের যে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে তার মধ্যে প্রশাসনিক খাতে ৩৫ শতাংশ, সুদ পরিশোধ খাতে ২৭ দশমিক ৪, সামাজিক অবকাঠামো খাতে ২৬ দশমিক ৪, কৃষিতে ৮ দশমিক ৩, ভৌত অবকাঠামো খাতে ১ দশমিক ৯ এবং অন্যান্য খাতে ১ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার যে পরিমাণ অর্থ পরিচালন খাতে ব্যয় করার জন্য বরাদ্দ করেছিল, তার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধে ব্যয় করার কথা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকারের পরিচালন ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা, যা এ সময়ে হওয়া মোট পরিচালন ব্যয়ের ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন জিঞ্জিরায় তৈরি মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করছে
গত বছর গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারিজ, সরঞ্জাম ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বাধায় তাদের পক্ষে উৎপাদন কাজ অব্যাহত রাখাই দায় হয়ে পড়ে।শিল্প কারখানায় বিকল যন্ত্রপাতি সারাইয়েও লাগে যন্ত্রাংশ, অনেক সময় মেশিন একেবারে নষ্ট হয়। এমন দরকারি অনেক মেশিন, খুচরা যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু, তা না করতে পারায় কীভাবে উৎপাদন কাজ সচল রাখা যায়, সেই ভাবনা থেকেই অনেক শিল্পোৎদ্যোক্তা ঝোঁকেন জিঞ্জিরার দিকে। এখান থেকে তারা বিভিন্ন বিদেশি মেশিনের ‘হুবহু মেশিন’ তৈরি করে নিচ্ছেন। এ ধরনের পণ্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই জিঞ্জিরা একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। প্রায় শূন্য থেকে জটিল মেশিনারিজ ও স্পেয়ার পার্টসের অনুকরণে রেপ্লিকা তৈরিতে রাজধানীর উপকন্ঠে কেরানীগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এই এলাকার খ্যাতি আছে। বর্তমান সময়ের মতো সংকট কালে– এই দক্ষতাই শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগছে।কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ তৈরি করতে হলে, জিঞ্জিরায় আসল মেশিনের কোনো নমুনা বা ডিজিটাল ব্লুপ্রিন্ট নিয়ে যেতে হয়। তারপর সেই অনুসারে, গ্রাহকের কাঙ্ক্ষিত পণ্য তৈরির জন্য এখানে আছে হাজারো কারখানা। তবে মানে কিছু কমতি হবে এটাও স্বাভাবিক। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
অস্বাভাবিক খরচ, কঠিন হচ্ছে সাধারণের হজ
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন গমনেচ্ছু ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তাঁরা বলছেন, এক লাফে বিপুল অঙ্কের খরচ বাড়াটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের স্বার্থ সঠিকভাবে রক্ষা করছে কিনা- সেই প্রশ্ন তুলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি করছেন কেউ কেউ। গত বছর সরকারিভাবে হজ প্যাকেজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এবার সরকারিভাবে হজযাত্রীদের জন্য একটি মাত্র প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জনপ্রতি খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো তাদের সর্বনিম্ন হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকারের চেয়ে ১০ হাজার ৩৯৭ টাকা কমে। তাদের খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। অন্যান্য বছর সরকারি প্যাকেজের চেয়ে বেসরকারি হজ পাকেজের খরচ বেশি থাকে, এবার তার উল্টো চিত্র। সূত্র: সমকাল
পরীমনি থেকে ফুলপরী
ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শুরু হয় অন্য এক নতুন যুদ্ধ। যার জন্য শিক্ষার্থীরা মোটেই প্রস্তুত থাকে না। প্রস্তুত থাকার কথাও না। র্যাগিং কিংবা ছাত্র রাজনীতির নামে চলে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন। সংবাদের শিরোনাম হয় মেধাবী শিক্ষার্থীরা, না সেটা ভালো কিছু অর্জনের জন্য নয়। শিরোনাম হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক পুরনো শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিছু দিন পর পর শিরোনাম হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন নিয়ে। সর্বশেষ সামনে আসে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা। ঐ ছাত্রী প্রতিবাদী হওয়ায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। অথচ হাজারো শিক্ষার্থী নিরবে সহ্য করছে নির্যাতন। অনেক শিক্ষার্থীর বাধ্য হচ্ছে হল ছাড়তে। অনেকে আবার ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ও।তেমনি এক নির্যাতিত শিক্ষার্থীর নাম ফুলপরী। তবে অন্য শিক্ষার্থীর ন্যায় সহ্য করার মানসিকতা নয় তার। হয়ে উঠেছেন প্রতিবাদী। নিজের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে নেমেছেন নিজেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাস্তব চিত্র চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে তা যেন আর কোন শিক্ষার্থীর সাথে না ঘটে, তার জন্য আমার এই আওয়াজ। যারা এসবের সাথে জড়িত, তাদের সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবেই অন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করার সাহস পাবে।’ সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন