পরকীয়া: গলা কেটে হত্যার পর বন্ধুকে জ্বালিয়ে দিলো আরেক বন্ধু
বন্ধুর স্ত্রীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এক ব্যক্তির। সেই সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অন্য বন্ধু। সেই কাঁটা সরাতে কাগজ কাটার ছুরি দিয়ে বন্ধুর গলার নলি কেটে খুনের পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে।
শনিবার (০৭ জানুয়ারি) ভারতের দিল্লির ওয়াজিরাবাদে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এইসব তথ্য জানানো হয়েছে।


ভরতীয় পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মৃতের নাম রশিদ। তার স্ত্রীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মুনিশউদ্দিনের। দুই জনেই একসাথে কল সারাইয়ের কাজ করতেন। খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন দু’জনে। পরস্পরের বাড়িতেও বেশ যাতায়াত ছিল তাদের। এই নিয়মিত যাতায়াতের মধ্যেই রশিদের স্ত্রীর সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুনিশউদ্দিনের।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রশিদ মদ্যপান করে প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন। রশিদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চাইছিলেন তার স্ত্রী। মুনিশউদ্দিনের সাথে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠায় দু’জনে মিলে রশিদকে সরিয়ে দেওয়া পরিকল্পনা করেন। অত্যাচার থেকে তাকে মুক্ত করতে গত ১০-১৫ দিন ধরে মুনিশউদ্দিনকে চাপ দিচ্ছিলেন রশিদের স্ত্রী। তার পরই তারা রশিদকে খুনের পরিকল্পনা করেন।
জেরায় মুনিশউদ্দিন পুলিশকে জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মতো রশিদকে রাম ঘাটে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে দুইজনে মিলে মদ্যপান করেন। তার পর মত্ত অবস্থায় রশিদকে ছুরি দিয়ে কোপান, গলার নলি কেটে দেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য রশিদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
রাম ঘাটে স্থানীয়রা একটি পোড়া দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। দেহটির ৯০ শতাংশ জ্বলে গেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে মুনিশউদ্দিনের খোঁজ পায় পুলিশ। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন। রোববার (০৮ জানুয়ারি) ভোরে রোহিণী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সারাদিন/০৮ জানুয়ারি/এমবি