হজ ও ওমরা ব্যবস্থাবিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরা ব্যবস্থা বিষয়ক সম্মেলন-২০২২ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলন উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক উন্নত ও সহজ হয়েছে। হাজীদের সঙ্গে প্রতারণা করলে এজেন্সিগুলোকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।


বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে হজযাত্রীদের নিয়ে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল, দালাল-প্রতারকদের প্রতারণা, হজযাত্রী পরিবহনে চরম বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম সাধারণ ঘটনা ছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আমাদের সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে এটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করি। হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, ই-হেলথ প্রোফাইল তৈরি, ই-টিকিট, হজযাত্রী পরিবহন, মক্কা-মদিনায় আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা দেওয়াসহ সবক্ষেত্রে ই-হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান হজ ব্যবস্থাপনার অধিকাংশ বিষয়ে আইটি নির্ভর হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হজ ব্যবস্থাপনার অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এসব বিষয়ে হজযাত্রীসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পাঠানো এজেন্সিকে অবহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, ইসলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও শান্তির ধর্ম। ইসলামের আদর্শ ধারণ করে সমাজ থেকে হিংসা বিভেদ সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও অশিক্ষা দূর করে উন্নত সমাজ গড়তে হবে। ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে যেন না ব্যবহার করা হয়।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশে যাবেন সেখানকার আইন মেনে চলবেন। হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবের যে প্রশংসা বাংলাদেশ পেয়েছে তা যেন অব্যাহত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য সব ধর্মের জন্যও আমাদের সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশে সব ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম চর্চা করছে। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি ধর্মকে অপব্যবহার করে এক শ্রেণির ইসলামের লেবাসধারী ব্যক্তি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। তারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনও তাদের প্রশ্রয় দেবে না। আমরা সবাই ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করে সমাজ থেকে অন্ধকার, অশিক্ষা, বিভেদ, হানাহানি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করি; ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিরোধ করি।
সরকারপ্রধান বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যারা আগামীতে হজে যাবেন তারা হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের সব নিয়ম কানুন এবং আইন সম্পর্কে জানতে পারবেন।