ফুটবলার আঁখির বাবাকে শাসালো পুলিশ

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতাসিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২

সংগৃহীত

সারাদেশ যখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে ঠিক তখন দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনকে। সরকার থেকে আঁখিকে দেওয়া জমি নিয়েও মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের সমন বুঝে নিতে তার বাবাকে শাসিয়ে গেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এমন অভিযোগ করেছেন আঁখি ও তার বাবা।

ফুটবলার আঁখি খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাহজাদপুর থানা থেকে এসআই মামুন আমাদের বাড়িতে এসে আমার বাবাকে আদালতের একটি কাগজে সই করতে বলেন। আমার বাবা সেই কাগজে সই করেননি। তাই আমার বাবাকে এসআই মামুন থানায় নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেন এবং গালাগালা করেন। পরে বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এসআই নাকি বলেছেন- আমি বাড়ি যাওয়ার পর থানায় যেতে হবে আমাকে। আসলে গতকাল এমন এক আনন্দঘন মুহূর্তে এমন সংবাদে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়।

আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় থানা থেকে এসআই মামুন সাহেব এসে আমাকে একটা কাগজ দিয়ে বলে- আঁখি তো বাড়িতে নেই। তার পরিবর্তে আপনি এই কাগজে সই দেন। আমি বলি কেন সই দেবো আমি তো বাদী বা আসামি কোনোটাই না। আমি পুলিশকে বলেছি, আপনারা ইউএনও মহোদয় বা ডিসি স্যারের সাথে কথা বলেন। তখন আমাকে কটূক্তি করেছে আরেক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে। আসলে এই জায়গাতো আমাদের সরকার দিয়েছে। কোন মামলা বা অভিযোগ হলে সরকারের নামে হবে। আমাদের নামে কেন আদালত সমন পাঠাবে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে পুলিশ রাতে আঁখির বাড়িতে নোটিশ দিতে যায় পুলিশ। নোটিশ না নেওয়ায় পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আঁখির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ফুটবলার আঁখির জন্য ১ নম্বর খাস খতিয়ানের একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমির তার দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় তিনি ওই জমির মালিকানা দাবি করেননি। মামলার তফসিলে খতিয়ানও উল্লেখ করেননি। প্রকৃতপক্ষে আঁখিকে দেওয়া জমিটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। যেটা এখনও আমাদের দখলে রয়েছে। আঁখির পরিবার যাতে ওই জমি না পায়, সে জন্য একটি চক্র এই মামলা দায়ের করিয়েছে।

Nagad

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) লুৎফন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি যখন ফাইলিং হয়, তখন বোঝা যায় না জমিটি কার। পরে আমরা বুঝতে পেরেছি, ওটা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের জমি। যেটা ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে কোনো জমি নিয়ে মামলা হতেই পারে। মামলা দায়েরের পর প্রসিডিওর অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উভয়পক্ষকে নোটিশ দিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এখানেও তেমনটাই ঘটেছে।

সারাদিন/২২ সেপ্টেম্বর/এমবি