চিকিৎসক ছাড়া কেউই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২২

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষ এখন যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছে। আমাদের প্রেসক্রিপশন বেশি হয়। প্রেসক্রিপশনটা জুডিশিয়ালি করা উচিত। গ্রাম এলাকায় চিকিৎসক ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ছাড়া কেউই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবে না।’

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি অপরাধ। আমাদের আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ করতে পারি না। আইনটা এখন আরও মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছি।।

আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। ঠিক মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রেজিস্ট্যান্স হয় কীভাবে, জনগণকে তা জানাতে হবে। যারা এ সেবার সঙ্গে জড়িত, সাধারণ মানুষ, যারা আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন, তাদের সবাইকে অ্যান্টিবায়োটিক বিষয়ে জানাতে হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা অ্যান্টিবায়োটিক খান, তারা অনেক সময় কোর্স পূরণ করেন না। এটাও ক্ষতিকর। আবার যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে তাদের অধিকাংশের প্রয়োজন নেই। গ্রামাঞ্চলে এটা সবচেয়ে বেশি। সেখানে গ্রামীণ চিকিৎসক, যাদের স্বীকৃতি নেই তারা দিচ্ছেন। ঔষধ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু তাতেও হচ্ছে না। এটাতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের মারাত্মক ব্যবহার হচ্ছে ফার্মগুলোতে। গরু, মুরগি, মাছ ও মাংসে অ্যান্টিবায়োটিকে সয়লাব হয়ে গেছে। পোল্ট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক আকারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে।’

Nagad

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যতটুকু ব্যবহার করা উচিত, তার বাইরে যাতে না হয় সেটা দেখতে হবে। বর্জ্যের কারণে মাছ ও মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে জটিল ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না।’

অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বক্তব্য দেন।